নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু | Netaji Subhas Chandra Bose - BENGALIGKHUB
Join Our Telegram Group

Wednesday, March 8, 2023

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু | Netaji Subhas Chandra Bose

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু | Netaji Subhas Chandra Bose

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 

নমস্কার বন্ধুরা,
আজ আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরছি বাঙালি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । আমার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা নেতাজির জীবনী সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন । ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অপরাজেয় দেশগৌরব নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বাদ দিলে আমরা কখনো ভারতের স্বাধীনতার কথা ভাবতে পারতাম না । 

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী :

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের শ্রেষ্ঠ নেতা । সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন ।
সুভাষচন্দ্র বসু সকল ভারতবাসীর কাছে "নেতাজি " নামে পরিচিত । 23 জানুয়ারি , 2022 সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্মবার্ষিকীতে ভারত সরকার নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস পালনের কথা ঘোষণা করেন ।
"তোমরা আমাকে রক্ত দাও,
আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব"

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম পরিচয়

ভারত জননীর কোলে 1897 সালে 23শে জানুয়ারি সুভাষ চন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন । নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ব্রিটিশ ভারতে উড়িষ্যা প্রদেশে (স্বাধীন ভারতে ওড়িশা রাজ্য ) কটকে জন্মগ্রহণ করেন ।
নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
জন্মতারিখ 23শে জানুয়ারি, 1897
জন্মস্থান ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের উড়িষ্যা বিভাগের কটকে (স্বাধীন ভারতের ওড়িশা রাজ্যে)
পিতার নাম জানকীনাথ বসু
মাতার নাম প্রভাবতী দেবী
স্ত্রীর নাম এমিলি শেঙ্কল
জাতীয়তা ভারতীয় (বাঙালি)
রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক
ভারত ত্যাগ 1943
মৃত্যু অমীমাংসিত

ভারতের গৌরব নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু গৃহপত্নী প্রভাবতী দেবী ও উকিল জানকীনাথ বসুর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন । নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন তাহার পিতামাতার  ষষ্ঠ সন্তান ।


নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর শিক্ষাজীবন 

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু  উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে শহরে বেড়ে ওঠেন, সেই সূত্রে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় প্রোটোস্ট্যান্ট স্কুলে । সুভাষচন্দ্র বসু ছেলেবেলা থেকেই স্বাধীন চিন্তা ধারার অধিকারী ছিলেন । প্রোটোস্ট্যান্ট স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে, 1913 সালে ভর্তি হন র্যাভেনস কলেজিয়েট স্কুলে । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে । রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর দর্শন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে ভর্তি হন স্কটিশচার্জ কলেজে । স্কটিশচার্জ কলেজ থেকে বি. এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণির অনার্স লাভ করার পর , পিতা মাতার ইচ্ছা অনুযায়ী ইংল্যান্ডে যান আই. সি. এস. পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে । 1920 সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আই. সি. এস. পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মজীবন 

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন সুবুদ্ধি সম্পন্ন, সমাজসেবক ও দেশপ্রেমিক কর্মযোগী মানুষ । কর্মজীবনের শুরুতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ পদ গ্রহণ করেন । একই সময় তিনি  কংগ্রেস কমিটির সচিব পদে নিযুক্ত হন । পরবর্তীতে নেতাজি "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন । 1924 সালে 14 এপ্রিল সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতা পৌর নিগমের প্রধান কার্যনির্বাহী পদে নিযুক্ত হন ঠান্ডা ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক জীবন 

1922 সালে নীতিগত মতবিরোধের জন্য মতিলাল নেহেরুর সহযোগিতায় সুভাষচন্দ্র বসু স্বরাজ্যদল গঠন করেন । 1923 সালে সাধারণ নির্বাচনে সুভাষচন্দ্রের স্বরাজ্যদল জয় লাভ করে । 1924 সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করলেন । দীর্ঘ আড়াই বছর পর তৎকালীন বাংলার গভর্নর স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসন 1927 সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি আদেশ দেন । 1938-1939 নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিখিল ভারত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজদের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বে বিরতি তার বীজ গ্রহণ করতে চাইছিলেন । ইংলিশ সরকার বুঝতে পেরে সুভাষচন্দ্র কে নজর বন্দী করে, ইংরেজ পুলিশদের চোখ ফাঁকি দিয়ে 1941 সালে 26শে জানুয়ারি নেতাজি ছদ্মবেশে দেশ ত্যাগ করেন । জাপানে পৌঁছে নেতাজি সুভাষ আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায় পথ গ্রহণ করেন এবং দিল্লি চলো স্লোগানের মাধ্যমে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দিলে লাল কেল্লা দখল করা । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাধীন ফৌজ উত্তর পূর্ব ভারতের ইমফলে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন । যদিও নেতাজি সুভাষের আজাধীন ফৌজ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেনি তবুও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আজাদ হিন্দ ফৌজ একটি দৃষ্টান্তমূলক অধ্যায় ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য 

1945 সালে জাপানের তাইহুক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করার পর নিমন্তর ঘটনায় তার মৃত্যু হয় বলে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় । অনেক ভারতবাসী মনে করেন সেদিন কোনো বিমান দুর্ঘটনা হয়নি, অনেকে মনে করেন নেতাজিকে সাইবেরি আর কোন জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল  । নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতবাসীর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে ।  পরবর্তী সময়ে ভারত সরকার নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করলেও সেই কমিটি নেতাজি সুভাষ এর মৃত্যুর ব্যাপারে কোন প্রকার সদ উত্তর দিতে পারেনি ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন 

  1. ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির নেতা কে ছিলেন ?  উত্তর: সুভাষ চন্দ্র বোস । 
  2. সুভাষচন্দ্র বসু কার গঠিত হওয়ার কথা কোথায় ঘোষণা করেন ? উত্তর: সিঙ্গাপুর ।
  3. নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব কে তুলে দিয়েছিলেন ? উত্তর: রাজবিহারী বোস ।
  4. কত সালে আজাধীন ফৌজ গঠিত হয় ? উত্তর: 1লা সেপ্টেম্বর, 1942 ।
  5. আজাদ হিন্দ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে  অস্থায়ী আজাধীন ফৌজ সরকার প্রথম স্বাধীন ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে নামকরণ করেন - "শহীদ " ও "স্বরাজ" দ্বীপ ।
  6. কত সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজাধীন ফৌজ সরকার গঠন করেন ? উত্তর: 21শে অক্টোবর, 1943 । 
  7. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কি ছদ্মনামে ভারত ত্যাগ করেন ? 
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছদ্মনাম ছিল অরল্যান্ডো মাজোট্টা ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF Download

File Details::                                                                                                                      
File Name  : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী
File Format   : PDF
No. of Pages : 3



No comments:

Post a Comment

don't share any link