Geography of India
ভারতের ভূ প্রকৃতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
সিয়াচেন হিমবাহ হিমালয় পর্বতমালার পূর্বে কারাকোরাম পর্বত অবস্থিত।
৭৬ কিমি দীর্ঘ, এই হিমাবহ কারাকোরাম এর দীর্ঘতম হিমবাহ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম হিমবাহ।
অমীমাংসিত সিয়াচেন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হয় তা সিয়াচেন যুদ্ধ নামে পরিচিত।
কারাকোরাম পর্বত এর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য হিমবাহ গুলি হল- বালটোরা,বিয়াফো, হিসপার ও রিমো।
কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী (এটি গঙ্গার উৎপত্তিস্থল) কোন একটি হিমাবহ।
দার্জিলিং হিমালয়ের জেমু হিমবাহ হল তিস্তার উৎপত্তিস্থল।
ব্যারেন দ্বীপ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি।
নারকোনদম হলো সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
লাক্ষাদ্বীপ হল প্রবাল দ্বীপ।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হলো বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ।
লাক্ষাদ্বীপ ৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
আরাবল্লী পর্বতমালা ভারতের প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বতমালা।
রাজস্থানের মাউন্টআবুর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল গুরুশিখর।
ভারতের মূল ভূখণ্ডের উপকূলের দৈর্ঘ্য ৬১০০ কিমি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপের উপকূল যোগ করে সমগ্র ভারতের উপকূলের দৈর্ঘ্য ৭৫১৬.৭৬ কিমি।
ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্য নয়টি। সেগুলি হল গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরলা, তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।
ভারতের দীর্ঘতম উপকূল গুজরাটে অবস্থিত।
ভারতের সীমান্তবর্তী জলে বিস্তৃতি ১২ নটিক্যাল মাইল।
নীলগিরির উচ্চতম শৃঙ্গ হল দোদাবেতা।
পূর্বঘাট পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল জিন্দাগাড়া।
উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত পর্বতমালারগুলির ক্রম হল কারাকোরাম, লাদাখ, জাস্কর ও গ্রেটার হিমালয়।
হিমালয়ের দক্ষিণ প্রান্তে ছোট ছোট পাহাড় সারি বেঁধে পশ্চিম থেকে পূর্বে বিস্তৃত রয়েছে এদের শিবালিক পাহাড় বলে।
শিবালিক পর্বতমালার দিদি হলো জম্বু কাশ্মীরের জম্মু ডিভিশন থেকে আসাম পর্যন্ত।
পাটকাই রেঞ্জ ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত থেকে বার্মা পর্যন্ত বিস্তৃত।
পাটকাই পর্বতমালায় তিনটি পর্বত অবস্থিত, পাটকাই-বুম, গারো-খাসি-জয়ন্তিয়া, লুসাই পর্বত।
ভারতের উপকূলীয় সমভূমি কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় (ক )গুজরাট উপকূল সমভূমি (খ )পূর্ব উপকূল সমভূমি (গ )পশ্চিম উপকূল সমভূমি
ওড়িশার মহানদীর মোহনা থেকে অন্ধপ্রদেশের কৃষ্ণানদীর ব-দ্বীপের পূর্বভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলকে উত্তরসরকার উপকূল বলে।
কাবেরী ও কৃষ্ণা নদীর মধ্যবর্তী অংশ হলো করমন্ডল উপকূল।
গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদীর মধ্যবর্তী অংশে কোলেরু হ্রদ অবস্থিত।
অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মধ্যবর্তী স্থানে পুলিকট হ্রদ অবস্থিত।
মরু অঞ্চলের চলনশীল বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান বলে।
মরু অঞ্চলে নিচের অংশে লবণাক্ত হ্রদগুলিকে রান বলে।
মধ্য মায়োসিন যুগের প্রথম হিমালয় পর্বতের উত্থানপর্ব শুরু হয়।
শিবালিক শ্রেণীর উৎপত্তি হয় সিনোজোয়িক যুগে।
আরাবল্লী পর্বত হলো ভারতের সর্ব প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতমালা।
ছোটনাগপুর মালভূমি হল ভারতের পূর্ব বঙ্গের মালভূমি অঞ্চল। ছোটনাগপুর মালভূমি অবস্থান ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ বিহার ও ছত্রিশগড়।
কইবুল লামজাও হল পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান জাতীয় উদ্যান।এটি মনিপুরের লোকটাক হ্রদ এর উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।
পশ্চিমঘাট পর্বতমালা সহ্যাদ্রি নামে পরিচিত।
সেভরয় পাহাড় তামিলনাড়ুতে অবস্থিত।
ভারতের সম্পূর্ণ বিভাগের আয়তন 32 লক্ষ বর্গ কিলোমিটার যাহা পৃথিবীর সমস্ত ভূমি ভাগের 2.4 শতাংশ ভূমি অধিকার করেছে